শিশু নির্যাতনের দায়ে ব্রিটেনে তিন বাঙালির কারাদণ্ড

যুক্তরাজ্যের আদালত লিডস ও ব্যারো-ইন-ফার্নেসে ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একাধিক শিশু ও তরুণীর যৌন নির্যাতনের দায়ে তিন বাঙালি সহোদর ভাইকে দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দিয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শাহ আমরান মিয়া (৪৯), শাহ আলম মিয়া (৪৭) ও শাহ জোমান মিয়া (৩৮)। অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে আমরানকে সর্বনিম্ন ২০ বছর ৩৩৮ দিন, আলমকে ১০ বছর ও জোমানকে ২১ বছর ২৩২ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারক মাইকেল আনসওয়ার্থের বর্ণনায়, ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জোমান (ডাকনাম সারজ) ও আমরান (জয়) লিডসের একটি মসজিদে দু’জন সাত বছর বয়সী কন্যাশিশুকে নিয়মিত নির্যাতন করে। পরবর্তীতে ২০০৮ থেকে ২০১০ সালে ব্যারো-ইন-ফার্নেসে তাদের পরিবারের টেকওয়ে শপের ওপরের ফ্ল্যাটে কিশোরী ও স্কুলছাত্রীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আদালতের তথ্যমতে, ভাইয়েরা একে অপরকে সহযোগিতা করে অপরাধের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।
প্রসিকিউশন কাউন্সিল টিম ইভান্স এটিকে "ক্লাসিক গ্রুমিং কেস" আখ্যা দিয়ে জানান, অপরাধীরা শিশুদের বিশ্বাস অর্জন করে নির্মমভাবে শোষণ করত। বিশেষত, আমরান ভুক্তভোগীদের পুলিশে যেতে বাধা দিতেন বলে প্রমাণিত হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, তিন মেয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ ১৬টি যৌন অপরাধ, দু’টি ভীতি প্রদর্শন ও একটি অপহরণের দায়ে আমরান দোষী। আর শাহ আলম মিয়াকে এক নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তিন শিশুকে যৌন নির্যাতনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে শাহ জোমান মিয়াকে। তার ৪০টি অপরাধের মধ্যে ৯টি শিশু ধর্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।