শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার এ পরোয়ানার নির্দেশ দেন। দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত এ সিদ্ধান্ত নেন। ৪ মে গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ধানমন্ডিতে আবাসিক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘনের মাধ্যমে ২০৩ নম্বর সড়কের ১৭ নম্বর প্লট পুতুলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অন্তর্গত অপরাধের কথা উল্লেখ রয়েছে।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী প্রমুখ। তদন্তে যুক্ত দুটি নতুন নাম—শরীফ আহমেদ ও মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন—ও চার্জশিটে যুক্ত হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া গত ১২ জানুয়ারি এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, সরকারি দায়িত্বে থাকাকালীন শেখ হাসিনা ও সহযোগীরা পারস্পরিক সুবিধা বিনিময় ও অবৈধ অনুগ্রহের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষতি করেছেন।