কোন দেশের ওপর কত শতাংশ শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও দেশীয় শিল্প রক্ষায় বহু দেশের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছেন। বুধবার হোয়াইট হাউজে দেওয়া ভাষণে তিনি দাবি করেন, দশকজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক বাণিজ্যে "শোষণের" শিকার হয়েছে। নতুন শুল্কনীতিতে চীনসহ এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর পণ্যে ১০% থেকে ৫০% পর্যন্ত শুল্ক বসানো হয়েছে।
চীনের রফতানিকৃত পণ্যে সর্বোচ্চ ৩৪% শুল্ক দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ভিয়েতনাম ৪৬%, কম্বোডিয়া ৪৯%, লাওস ৪৮%, মিয়ানমার ৪৪%, থাইল্যান্ড ৩৬% এবং তাইওয়ানের পণ্যে ৩২% হারে শুল্ক প্রয়োগ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫%, জাপানে ২৪% ও ভারতের পণ্যে ২৬% শুল্ক ধার্য হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পণ্যে ২০% শুল্ক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুইজারল্যান্ড ৩১%, সার্বিয়া ৩৭%, নর্থ মেসিডোনিয়া ৩৩%, আইসল্যান্ড ১০%, নরওয়ে ১৫% এবং যুক্তরাজ্যে ১০% শুল্ক প্রযোজ্য।
আফ্রিকায় লেসোথোর ৫০%, মাদাগাস্কারের ৪৭%, বতসোয়ানার ৩৭% এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০% পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। লাতিন আমেরিকায় ব্রাজিল ১০%, ভেনেজুয়েলা ১৫%, বলিভিয়া ১০% ও পানামায় ১০% শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও বাহরাইনের পণ্যে ১০%-১৭% শুল্ক দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের ক্ষেত্রে এই হার ১৭%। এশিয়ায় বাংলাদেশের ৩৭%, পাকিস্তানের ২৯%, শ্রীলঙ্কার ৪৪% এবং তুরস্কের ১০% পণ্যেও শুল্ক প্রযোজ্য।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।