পাখিপ্রেমীদের বিশেষ দিন আজ

গত তিন দশকে পৃথিবীর অনেক অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়ায়ও পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। বাংলাদেশে এই হার সবচেয়ে বেশি। পাখি গবেষকরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি প্রজাতি ইতোমধ্যেই বিলুপ্তির মুখে। আজ ৫ জানুয়ারি, পাখি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে পাখি দিবস। যদিও এটি সরকারি স্বীকৃত কোনো দিবস নয়, ব্যক্তিগত ও সংগঠন পর্যায়ে দিবসটি পালন করা হয়।
বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ পাখি এখন অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে পাখি নিয়ে জাতীয় কোনো জরিপ এখনো হয়নি। বিচ্ছিন্ন গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ। গবেষকরা মনে করেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে পাখির প্রাকৃতিক বাসস্থান ধ্বংস হচ্ছে। এর সঙ্গে রাসায়নিকের ব্যবহারও পাখি কমে যাওয়ার বড় কারণ।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকায় কাকের সংখ্যা গত এক দশকে অনেক কমেছে। এমনকি টাঙ্গুয়ার হাওরের পাখির সংখ্যা ২২ বছরে ৫৯ শতাংশ কমে গেছে। একসময় যেখানে লক্ষাধিক পাখি দেখা যেত, সেখানে এখন পাওয়া যায় মাত্র কয়েকটি।
তবে বাংলাদেশে উপকূলীয় পাখিশুমারি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। পাখি ও বন্যপ্রাণী গবেষক ড. আ ন ম আমিনুর রহমান জানান, এই শুমারি জানুয়ারি মাসজুড়ে চলে। এতে পাখির সংখ্যা, প্রজনন এবং নতুন অতিথি সম্পর্কে জানা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরোজ জামান বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ৭০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ২২০ প্রজাতি পরিযায়ী। দ্রুত জাতীয় পর্যায়ে পাখি নিয়ে জরিপ করার ওপর তিনি জোর দেন।