ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতজুড়ে মশাল মিছিল, সমাবেশ ও স্লোগানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সম্প্রতি এক ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কর্মচারীর জামিন প্রত্যাহার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ তীব্র হয়।
ঢাবির রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিলে ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন?’, ‘ফাঁসি চাই ধর্ষকের’ লেখা ব্যানার নিয়ে উপাচার্যের বাসভবন প্রদক্ষিণ করেন। পরে সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের নিচে সমবেত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধের দাবি তোলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের বিচার না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই।’
এদিকে, মাগুরায় এক শিশুর ওপর নৃশংস নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে বিক্ষোভে। শিশুটির ক্রিটিক্যাল অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও ক্ষোভের ঢেউ ওঠে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে নারী নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ৯টায় শামসুজ্জোহা চত্বরে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ সরকারের শাসনভার রাখার অধিকার নেই।’
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, যতদিন না ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত হবে, ততদিন তাদের প্রতিবাদ চলবে। তাদের এই আন্দোলন ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনবিরোধী জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হতে পারে, যার মাধ্যমে সরকারের প্রতি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।