মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধিতে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে অংশ নেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন ও হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে সেখ বশির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নতুন শুল্ক নীতিতে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
গত বুধবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। দেশটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, ‘মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। একইভাবে, আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘নতুন শুল্ক নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রেখেছি। তাদের ডেপুটি ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারের সঙ্গেও সম্প্রতি কথা হয়েছে। শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করলে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। আমদানি নীতির সংস্কার ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে, ব্যবসায়ী মহলের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে ড. খলিলুর রহমান আশ্বস্ত করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সময়োযোগী ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে চলেছি, তাই রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’